কালিহাতী প্রতিনিধি : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি।
সাথে ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার ও জেলায় কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম জানান, চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসলাম আমার সময় লেগেছে ৪৪ মিনিট; কোথাও কোন যানজট দেখিনি এবং প্রতিটি গাড়ি স্মুথলি চলে আসছে।
কোথাও কোন রং পার্কিং নাই রোডে লক্কর জক্কর গাড়ি নাই।
রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ পাহাড়া দিচ্ছে যেনো কোন প্রকার অনিয়ম না হয়।
এই যে পরিকল্পনা পুলিশের যে তৎপরতা এটা অব্যাহত থাকবে আমরা আগে থেকেই খুব এলার্ট।
তিনি বলেন, একটা ওয়েল প্ল্যান আমরা হাতে নিয়েছি যারা ঘরমুখো মানুষ তারা যেন নির্দ্বিধায় কোন প্রকার হাসিল ফেস না করে।
তারা যেনো সহজে বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং ঈদ শেষ করে কর্মস্থলে চলে আসে।
মাঝখানে যত ধরনের ঝামেলা হয় যেমন যানজট, রোডে এক্সিডেন্ট, নানা ধরনের চুরি, ছিনতাই এবং এ সকল ঘটনাকে নিয়ে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
তার অংশ হিসেবে গতকাল থেকেই দেখতেছেন অফিস, আদালত যে সকল মানুষ সাধারণত গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করে তারা গতকাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে আগামীকালও গার্মেন্টসের মানুষ গুলো যাবে।
আগামীকাল আমরা ট্যাকেল দিতে পারলে আমরা বলব যে সফল ভাবে বাংলাদেশের মানুষ এ যাত্রা সম্পন্ন করেছে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখবেন এবারের ঈদ যাত্রা অন্যবারের চেয়ে মানুষের ঘরে ফেরা এবং ঘর থেকে কর্মস্থলে ফেরা নিরাপদ হবে এবং নির্বিঘ্নে হবে।
ফিটনেসবিহীন ও লাইসেন্সবিহীন গাড়ি কোনভাবেই রোডে চলাচল করতে পারবেনা।
ঈদ যাত্রার বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশে যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
ঈদে ঘরমুখো মানুষ ১৯ এপ্রিল বুধবার পর্যন্ত ব্যস্ততম এই মহাসড়কে ভোগান্তি ছাড়াই সহজে যাতায়াত করতে পেরেছেন।
মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তারপরও মহাসড়কে যানজট নিরসনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বিঘ্নে কাজ করছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার