নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হাইওয়ে পুলিশের প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এবারের ঈদে একটু ভিন্নমাত্রা আছে।
এ সময় আমাদের পশুবাহী গাড়ির বেশি চলাচল করে। মহাসড়কের সংলগ্ন ও অদূরেই হাট থাকে।
এই চ্যালেঞ্জ গুলো আমরা চিহ্নিত করেছি এর সমাধানের পথ জানি, সেগুলো সমাধানের পথও আমরা চিহ্নিত করেছি।
ইজারাদারসহ স্থানীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সকলে মিলে এবারও কিন্তু আমরা স্বস্তিদায়ক দায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত করবো।
আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অঙ্গীকারবদ্ধ। সেভাবে আমরা মাঠে আছি ও কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিয়ে যে আমরা শুধু ঈদের আগে কাজ করি তা না।
প্রতিনিয়ত এসব যানবাহন নিয়ে আমরা কাজ করে থাকি। প্রতিনিয়ত ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন ডাম্পিং করা হচ্ছে।
গত মে মাসে এ রকম যানবাহনের বিরুদ্ধে ২৫ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেক গাড়ি আটক করা হয়েছে।
এসব ব্যবস্থার কারনে কিন্তু গত ঈদ এ যাবতকালের স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা হয়েছে। যানজট ও নিরাপদ ঈদ আমরা উপহার দিতে পেরেছি।
ফিটনেসবিহীন, রেজিষ্ট্রেশনবিহনী ও লাইসেন্সসহ নানা অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এ ধারাবাহিকতা বর্তমানেও অব্যাহত আছে, আশা করছি এর সুফল এবারও পাবো।
তিনি বলেন, বিকল হওয়া গাড়ি যাতে তাৎক্ষনিক চালু করা যায় সে বিষয় জোরদার করা হয়েছে।
যেসব যানবাহন চালু করা যাবে না সেগুলো রেকার দিয়ে অপসারণ করবো।
ঈদ উপলক্ষে সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের হেড কোয়ার্টার ও আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ আমরা সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে থাকি।
আমাদের গুরুদায়িত্ব মনে করি ঈদের সময়ে জন নিরাপত্তার ক্ষেত্রে, মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে স্বাচ্ছন্দে স্বজনদের কাছে যাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকি।
এ সময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান, বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাহিদ হাসান, ট্রাফিক পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা – অলক কুমার