মির্জাপুর সংবাদদাতা : করছেন মাটি ব্যবসা, সাইনবোর্ড সাটিয়েছেন এমপির অর্থায়নে রাস্তার নির্মাণ কাজ।
যাতে কেউ কিছু বলতে সাহস না করে সেজন্য এই সাইন বোর্ড সাটানো হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
সাইনবোর্ড সাটিয়ে এই মাটি ব্যবসা চলছে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের ইচাইল গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকায়।
জানা গেছে, ইচাইল গ্রামের মো. জাকির হোসেন গত দুই সপ্তাহ ধরে ইচাইল গ্রামে মাটি ব্যবসা শুরু করে।
তিনি লৌহজং নদীর ইচাইল উত্তরপাড়া এলাকা থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বড় মাহিন্দ্র ট্রাকে পরিবহন করে মা বাবা এন্টারপ্রাইজ রশিদে এলাকায় বিক্রি করছেন।
গ্রামের সরু রাস্তায় বড় বড় মাহিন্দ্র ট্রাকের কারণে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি এবং শিশুসহ এলাকাবাসীকে ঝঁুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাটি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন সম্প্রতি রাস্তার বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সাংসদ খান আহমেদ শুভর ছবি দিয়ে কয়েকটি সাইনবোর্ড সাটিয়েছেন।
সাইনবোর্ডে লেখা আছে ‘ইচাইল পশ্চিম অংশ সারুটিয়া নগরী রোড, নির্মাণ কাজ চলিতেছে’ মো. করিম মিয়ার বাড়ী হইতে সারুটিয়া প্রাথমিক স্কুল মাঠ পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট কাজ চলিতেছে।
কাজের অর্থায়নে : খান আহমেদ শুভ, মাননীয় সংসদ সদস্য, টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর।’ ওই সাইনবোর্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের ছবিও দেয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাটি ব্যবসায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাংসদ নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভর ছবিসহ সাইনবোর্ড সাটিয়ে মাটির ব্যবসা করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কয়েকজন জানান, দুই সপ্তাহ আগে জাকির হোসেন মাটি ব্যবসা শুরু করেন।
রাস্তার ক্ষতি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মাটি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন এমপির অর্থায়নে রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে এমন সাইনবোর্ড সাটিয়েছেন; যাতে কেউ কিছু বলতে সাহস না করে।
মাটি ব্যবসায়ীর বক্তব্য –
মাটি ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেন জানান, খান আহমেদ শুভ এমপির অর্থায়নে রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
কোন দপ্তর থেকে এ কাজটি টেন্ডার করা হয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন অফিসের কাজ নয়।
এমপির ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে।
এ কাজে গ্রামের মানুষও টাকা দিয়ে সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।
পরে টাকা নিয়ে গ্রামে বাড়ি ও পুকুর ভড়াট করছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননি তিনি।
ইউএনও’র বক্তব্য –
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিলা বিনতে মতিন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এবিষয়ে জানতে স্থানীয় সাংসদ খান আহমেদ শুভ’র সাথে যোগাযোগ করে সারা পাওয়া যায়নি।
তাই এই সংবাদ স্থানীয় সাংসদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য যোগাযোগ করা হয়নি।