কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণের কাজ বন্ধ করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযানে ওই এলাকায় সরকারি বনভূমি কেটে অবৈধভাবে শেড নির্মাণের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ কাঠ, রড, সিমেন্ট এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সওয়াব নামক একটি এনজিও সম্প্রতি রাতের আঁধারে এই শেড নির্মাণে জড়িত ছিল।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘সওয়াব’ এনজিওটি সরকারি বন বিভাগের পাহাড় ও গাছ কেটে অবৈধভাবে শেড নির্মাণ করে আসছিল। এনজিওটি এরই মধ্যে শেডগুলোর এলাকাটিতে ‘আমেনা ভিলেজ’ নামকরণ করে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয়, যা অনুমতি ছাড়াই করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে গতকাল (১৬ এপ্রিল) প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে উদ্ধার করা সমস্ত গাছ এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, “এমন সময় এই শেড নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যখন রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলছে। এটি সরকারের কাজকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।”
এছাড়া, স্থানীয় থাইনখালী বনবিট কর্মকর্তা জানান, এনজিওটি বনায়নকৃত সামাজিক বনভূমির গাছ কেটে শেড নির্মাণ করে আসছিল।
স্থানীয় পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী অভিযুক্ত এনজিওকে ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ এই শেড নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি জানান, এনজিওটি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গিয়ে শতাধিক শেড নির্মাণ করেছে, যা জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এলাকাবাসী প্রশাসনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে এসব শেড ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেছেন, যদি শেডগুলি না ভাঙা হয়, তাহলে এলাকার জনগণ কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।