করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার ৪০তম দিনে এসে ৪৩টি জেলায় সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। এরপর ব্যাপক সংক্রমণ রোধে সারাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সরকার।
সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ক্ষমতাবলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। সেহেতু সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১১(১) ধারার ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে হবে; অতীব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবে না; সারাদেশে কেউ সন্ধ্যা ছটার পর সকাল ছয়টা পর্যন্ত বাইরে যেতে পারবে না। এছাড়া এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, মোট ৪৩ জেলায় এই পর্যন্ত এক হাজার ৫৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতোমধ্যে ৪৮টি জেলা লকডাউন করেছে প্রশাসন। এর বাইরেও কিছু উপজেলা এবং কিছু জেলার আংশিক এলাকায় লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করায় লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। লক্ষাধিক লোক মারা গেছেন। বাংলাদেশেরও বিভিন্ন এলাকায় এই ভাইরাসের সংক্রামণ ঘটেছে। হাঁচি, কাশি ও পরস্পর মেলামেশার কারণে এই এই রোগের বিস্তার ঘটে।’
‘এখন পর্যন্ত বিশ্বে এই রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ রোগের একমাত্র প্রতিষেধক হলো পরস্পর হতে পরস্পরের নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করা। যেহেতু জনসাধারণের একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব নয় এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে তাই সংক্রামণ রোগ আইন ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।’
এই আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে আইনের অন্য ধারাগুলো প্রয়োগের ক্ষমতা সংরক্ষণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জনিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।