টাঙ্গাইলের কালিহাতী পৌরবাসীর জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (DPHE) বাস্তবায়িত ‘৩২টি পৌরসভার পানি সরবরাহ ও মানববর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন প্রকল্প’-এর আওতায় কালিহাতী পৌরসভায় নির্মিত ২০০ ঘনমিটার/ঘণ্টা ক্ষমতাসম্পন্ন ভূগর্ভস্থ পানি শোধনাগার ও পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় আধুনিক এই ওয়াটার প্লান্টের উদ্বোধন করেন কালিহাতী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
এটি প্রথমবারের মতো কালিহাতী পৌরসভার পানিসেবায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শোধন ব্যবস্থা যুক্ত করল, যা নিরাপদ ও মানসম্মত পানি সরবরাহে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী গাজিউর রহমান, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শিব প্রসাদ সূত্রধর, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও পৌর পরিষদের সহায়তা কমিটির ওয়ার্ড সদস্য কুলসুম সোলায়মান, কালিহাতী থানার ওসি তদন্ত আব্দুস ছালাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশরাফ আলীসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নতুন এই ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পানি শোধন করা যাবে, যা ধাপে ধাপে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হবে। উন্নত ফিল্টারেশন সিস্টেম ও গুণগতমান পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা হবে। এটি পানি দূষণজনিত রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার অনেকেই নিরাপদ পানির সংকটে ভুগছিল। বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলের পানি আয়রন ও ব্যাকটেরিয়া দূষণের কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। নতুন শোধনাগার চালু হওয়ায় সেই সংকট দূর হবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।
ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পানি সরবরাহ আরও উন্নত, স্বচ্ছ ও স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
টাঙ্গাইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, “কালিহাতী পৌরসভায় নির্মিত এই আধুনিক ট্রিটমেন্ট প্লান্ট পৌরবাসীর জন্য একটি আশীর্বাদ। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পানি শোধনের প্রতিটি ধাপ কঠোরভাবে মনিটর করা হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পানি পায়।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সরকারের অগ্রাধিকার। এই শোধনাগার চালুর মাধ্যমে কালিহাতী পৌরসভা সেই লক্ষ্য পূরণের দিকে এগিয়ে গেল। ধাপে ধাপে সব ওয়ার্ডে এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।”











