কালিহাতী সংবাদদাতা : উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মোল্লা বলেন, কালিহাতী যুবলীগে সন্ত্রাসীদের স্থান নাই। যুবলীগ সন্ত্রাসীদের দল নয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সারাদেশে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে; গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় দিতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন; সেই নেত্রীর দলে সন্ত্রাসীদের স্থান নাই।
সন্ত্রাসী হামলা ও যুবলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ঝাড়ুমিছিল ও মানববন্ধনের প্রেক্ষিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিস্তারিত জেনে সাংগঠনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা যায়, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে পাইকড়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ফুলচাঁন পাশের বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে নিজ বসতবাড়ির সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
এই হামলায় পাইকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে পারভেজ, সোহান, রবিন, নাজমুল, সজিবসহ ২০-২৫ জন অংশ নেয়।
এসময় ফুলচাঁনকে দা, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমলী আদালতে সেলিম হোসেন’সহ ১৭ জনকে আসামী করে ফুলচাঁনের স্ত্রী শাহানাজ আক্তার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খন্দকার মাতিন ও হায়দার আলী মাস্টার একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে।
তাদের ছত্রছাঁয়ায় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম রেজা ও তার বাহিনী এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
তার বিরুদ্ধে অর্ধডজন মামলা চলমান থাকলেও প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছাঁয়ায় সে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন বলেন, এই বেপরোয়া যুবলীগের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, আদালতের নথি এখনো থানায় পৌঁছেনি। নথি পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, কালিহাতীর বলিখন্ড গ্রামের ফুলচাঁনের (৪০) উপর সন্ত্রাসী হামলা ও যুবলীগের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ঝাড়ুমিছিল ও মানবন্ধন করেছে স্থানীয়রা।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বলিখন্ড থেকে বালিয়াটা মোড়ে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার