টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রায়হান আলীর বিরুদ্ধে নারী আসামিকে আটক করার পর মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয় এবং পরে (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটনে বদলি করা হয়।
জানা গেছে, গত (১৭ আগস্ট) রায়হান ও কনস্টেবল রফিক সিভিল পোশাকে কাজীবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালান। মাদক ব্যবসায়ী আবুল কাসেমকে না পেয়ে তার স্ত্রী রেখা বেগমকে আটক করার চেষ্টা করেন রায়হান। এ সময় ধস্তাধস্তির ঘটনায় রায়হান তার ওয়ারলেস দিয়ে রেখার মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার পর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত রায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, রায়হান অতীতে বিভিন্ন মাদক, জুয়ার ও অনলাইন স্ক্যামিং সংক্রান্ত মামলায় সংস্থাপন ও টাকা গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। এতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটক করে টাকা নেওয়া বা ছাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
রেখার স্বামী আবুল কাসেম অভিযোগ করেন, “আমরা মাদক বিক্রি করি না, শুধুমাত্র ব্যবহার করি। স্থানীয় মেম্বারের ছেলে গাঁজা চাওয়ায় রায়হান পুলিশকে ব্যবহার করে আমার স্ত্রীকে মারধর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পরে ১ কেজি ৩শ গ্রাম গাঁজা দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।”
অভিযুক্ত রায়হান আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “রেখা ও তার স্বামী মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, কোন মারধর করা হয়নি।”
কালিহাতী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত রায় বলেন, “ধস্তাধস্তির সময় রেখার মাথায় আঘাত হয়েছে, মারধর করা হয়নি।”
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, “আমি নতুন যোগদান করেছি। এএসআই রায়হানের বিষয়ে কিছু জানি না।”