টাঙ্গাইল কালিহাতী বল্লা এলাকায় রাস্তার উপর পোস্টমাস্টারকে গুলি করে ৫০ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে গত ১৭ মে (রবিবার) দুপুর অনুমানিক পৌনে দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এরপর এই ঘটনায় জড়িত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ১৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার সহিত সরাসরি জড়িত গ্রেপ্তাকৃত ছয় আসামিরা হলো, ঘাটাইল উপজেলার নাটশালা গ্রামের মৃত. জহিরুল ইসলামের ছেলে তামজিদুল ইসলাম জিসান (২৫)। সে জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। তাকে টাঙ্গাইলের পূর্বআদালত পাড়ার ভাড়া বাসা “ওহাব মঞ্জিল” থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় তার বাড়ি থেকে ছিনতাইকৃত দুই লক্ষ টাকা ও ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়।
গত ১০ মে (বুধবার) মামলার সাথে সম্পৃক্ত আরো দুই আসামি গান্ধিনা এলাকার মৃত মুকিম উদ্দিনের ছেলে মো. ইমান আলী (৬৫) এবং তার ছেলে মো. ইমরান নাজির (১৯) কে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত নগদ ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ইমান আলী কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবের শ্বশুর ও নাগবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি।
এর আগে ০৭ মে (রোববার) কালিহাতীর আউলিয়াবাদ (ছাতিহাটি) চড়পাড়া এলাকার মো. করিম মিয়ার ছেলে মো. উজ্জল মিয়া (২৮), পরের দিন ০৮ মে (সোমবার) উপজেলার হাসড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ওমর গাজী (২৮) এবং একই দিন বল্লা পূর্ব পাড়া থেকে মৃত নুরুল হুদার ছেলে হুমায়ুন কবির (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বল্লা পূর্বপাড়ার হুমায়ূন কবির ছাড়া বাকি পাঁচ জন ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। জবানবন্দীতে তামজিদুল ইসলাম জিসান জানান, কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। জবানবন্দী শেষে বিজ্ঞ আদালাত আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
অন্যদিকে এই ঘটনার প্রধান আসামি মাস্টারমাইন্ড কালিহাতী উপজেলা যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ।
টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার জনাব সঞ্জিত কুমার রায় বিপিএম জানান, ছিনতাইকৃত টাকার বাকি অংশ, আলামত ও ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিশেষ পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।