টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রতারণার মামলায় আশিক (৩২) নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। আশিক কালিহাতী উপজেলার সহদেবপুর ইউনিয়নের দ্বিমুখা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমলী আদালতের বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজার অনুযায়ী, ঘাটাইল উপজেলার গৌরাঙ্গী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর আদালতে আশিক, তার স্ত্রী সুমি আক্তার এবং শ্বশুর সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ওমানে অবস্থানকারী আশিক পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিজনেস ভিসা দেওয়ার কথা বলে সুমি আক্তার ও সোহরাব আলীর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের নারান্দিয়া এজেন্ট শাখা দিয়ে টাকা নেন।
বাদী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আশিক প্রথমে ভিসার কথা বলে নগদ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে ভিসা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আশিকের স্ত্রী ও শ্বশুর তাকে হুমকি দিতে থাকে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলেও আশিক তা মানেননি এবং আরও ভয়ভীতি দেখাতে থাকেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাদী আদালতে মামলা করলে আশিক হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত তার জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে প্রতারণার শিকার আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, আশিক তাদেরকে ওমানে নিয়ে ভালো কাজের আশ্বাস দিলেও সেখানে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেন। ঘাটাইলের মাহবুব আলম, মকবুল হোসেন, উজ্জ্বল হোসেন এবং কালিহাতীর সাব্বির হোসেন জানান, আশিকের প্রতারণায় তারা সর্বস্ব হারিয়েছেন এবং তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
ওমান থেকে প্রতারণার শিকার পারভেজ হোসেন বলেন, আশিক ৫ লাখ ২০ হাজার টাকার চুক্তিতে তাকে ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিয়ে গিয়ে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে বাংলাদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি ওমানে চরম কষ্টে আছেন এবং দেশে ফেরার মতো টাকাও নেই। ভুক্তভোগীরা সবাই আশিকের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।











