টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ফারহানা ফারিহা ওরফে কাজল (২২) নামের এক গৃহবধূ। বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহরের একটি ভাড়া বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগীর বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, মা আনোয়ারা বেগম এবং ছোট ভাই আশিকুর রহমান।
ফারহানা অভিযোগ করেন, গত ১৩ জুলাই রাতে কালিহাতীর ভবানীপুর গ্রামে স্বামী শওকত হোসেন তালুকদার (ওরফে ঠান্ডু), ভাসুর মমিন তালুকদার ও জা আকলিমা মিলে তাকে ঘরে আটকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জোর করে তিনটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং দুটি ব্ল্যাংক চেক আত্মসাৎ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে, পরদিন তিনি কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন এবং বর্তমানে শহরে একটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন।
ঘটনার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১১(গ)/৩০ ধারা এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৮৬, ৩৭৯, ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় গ্রহণ করা হয়েছে।
ফারহানা বলেন, “আমি একজন স্ত্রী, একজন মানুষ। আমাকে টাকার জন্য বারবার বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। আমি বিচার চাই, যেন আর কোনো নারী এমন নির্যাতনের শিকার না হয়।”
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু পারিবারিক কলহ নয়—এটি নারীর অধিকার, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি যৌতুকবিরোধী আইন বাস্তবায়ন ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান।