কিডনিতে পাথর ধরা পড়া একটি সাধারণ সমস্যা যা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে বেশি হয়। কিডনির পাথর অপারেশন করালেও পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই সঠিক ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি।
১. পানি ও তরল খাবার প্রতিদিন কমপক্ষে ৩–৪ লিটার পানি পান করুন। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াতে এবং কিডনিতে জমে থাকা খনিজ ও বর্জ্য পদার্থ বের করতে পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জুস ও অন্যান্য তরল খাবারের সঙ্গে মোট ৫–৬ লিটার তরল গ্রহণ করলে আরও উপকার হবে।
২. সাইট্রেট সমৃদ্ধ ফল পাতিলেবু, কমলালেবু জাতীয় সাইট্রেট সমৃদ্ধ ফল ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথর ভাঙতে সাহায্য করে। লেবুর রস প্রস্রাবের অম্লত্ব কমায় এবং নতুন পাথর গঠনে বাধা দেয়।
৩. পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কলা, পেঁপে, তরমুজের মতো ফলগুলিতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। এগুলি প্রস্রাবের স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ প্রাকৃতিক ডাইইউরেটিক হিসেবে কাজ করে।
৪. শাকসবজি ও ফাইবার যুক্ত খাবার লাউ, পালং শাক, করলা, ঝিঙে, পাটশাক প্রভৃতি শাকসবজি কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা পানি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন বের করে এবং ক্যালসিয়াম জমাট বাঁধা রোধ করে।
৫. দুধ ও দই (পরিমিত) পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম শরীরে অক্সালেট শোষণ কমিয়ে দেয়, ফলে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে। সীমিত পরিমাণে দুধ ও দই খাওয়া উপকারী।
৬. ডাবের পানি ডাবের পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, প্রস্রাবের প্রবাহ বাড়ায় এবং মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি কিডনিতে ছোট পাথর গলাতে সহায়তা করতে পারে।
এই ডায়েট কেবল তখনই কার্যকরী হবে যদি কিডনিতে অন্য কোনো সমস্যা না থাকে। অন্য কোনো রোগ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট অনুসরণ করা উচিত।











