নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে তালাক নামা লিখতে গিয়ে আব্দুল লতিফ নামে এক ভূয়া কাজীকে আটক করে স্থানীয় জনতা।
পরে তিনি কৌশলে পালিয়ে আসেন।
মঙ্গলবার উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের চর দূর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুল লতিফ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলী ছেলে। তিনি পেশায় আইনজীবী সহকারী।
স্থানীয়রা জানান, চর দূর্গাপুর গ্রামে একটি খোলা তালাক নামা লিখতে কাজী পরিচয়ে উপস্থিত হয় আব্দুল লতিফ।
স্থানীয় কাজী মাওলানা নুর আহমেদ ও এলাকাবাসী তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মুহুরি পরিচয় দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আসেন।
এছাড়াও রফিকুল ইসলাম কাজীর ছত্রছায়ায় তিনি টাঙ্গাইল আদালতে কাজী পরিচয়ে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করে থাকেন যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
তিনি কাজী না হয়েও অনেক মানুষকে হয়রানি করে থাকেন।
আব্দুল লতিফের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
টাঙ্গাইল জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রুমি বলেন, ‘আইন অনুযায়ী এক এলাকার কাজী অন্য এলাকায় অনুমতি ছাড়া তালাক ও বিয়ের রেজিস্ট্রি করতে পারে না।
আব্দুল লতিফ প্রকৃত কাজী নয়। মানুষ হিসেবেও তিনি সুবিধাজনক নন। তার মতো ভূয়া কাজীর জন্য প্রকৃত কাজীর সুনাম নষ্ট হয়।’
অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আমি আইনজীবী সহকারী হিসেবে কাজ করি। এছাড়াও টুকিটাকি একটি দুটি বিয়ের কাজও করি। তবে দূর্গাপুর এলাকায় কেউ আমাকে আটক করেনি। আমি স্বেচ্ছায় চলে এসেছি।’ সম্পাদনা – অলক কুমার