টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকিতে নিজ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন সালমা খাতুন (৪১) নামে এক নারী। দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বর্তমানে তিনি অন্যের বাসায় ভাড়া থাকছেন। মামলা করেও তার নিরাপত্তাহীনতা কমেনি, বরং আতঙ্ক আরও বেড়েছে।
ভুক্তভোগী সালমা খাতুন গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর উত্তরপাড়ার রেজাউল ইসলামের স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন এবং তিনি সন্তানদের নিয়ে গ্রামে বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর সহোদর ভাই খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক (৫০) ও খন্দকার আব্দুর রহমান (৪৫) তাকে হয়রানি ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
অসহ্য নির্যাতনের কারণে সালমা নিজের বাড়ি তালাবদ্ধ করে গোপালপুর মৃধাবাড়ীতে বাসা ভাড়া নেন। পরে তার স্বামী কিছু জমি স্ত্রী সালমার নামে দলিল করলে প্রতিপক্ষ আরও ক্ষিপ্ত হয়। এর আগেও তারা সালমার অনেক গাছ কেটে ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২০ জুলাই সকালে সালমা নিজ বাড়িতে গাছপালা ও ঘরবাড়ি দেখতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রতিবাদ করলে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তিনি চিৎকার করে পাশের বাড়িতে গিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। যাওয়ার সময় তারা হুমকি দেয়, আবার বাড়িতে এলে তাকে হত্যা করা হবে।
এ ঘটনায় সালমা খাতুন ৫ জনকে আসামি করে টাঙ্গাইলের প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি আইন ১০৭/১১৭(গ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকেই অভিযুক্তরা বারবার প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগীর স্বামী রেজাউল ইসলাম বলেন, “আমার ছেলে সন্তান না থাকায় ভাইয়েরা আমার সম্পত্তি দখল করার জন্য এসব করছে। প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি।”
প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।