ঘাটাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রাতের আঁধারে বাড়িতে তৈরি হচ্ছে নকল ঔষুধ। আর এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে ঘাটাইলের প্রাণীসম্পদ।
খোদ পৌরসভার চৌরাস্তা গরুর হাট সংলগ্ন রতনপুর এলাকায় একতলা বাড়িতে গরু মোটাতাজাকরণ ঔষুধ তৈরি হচ্ছে নামহীন ওই কারখানায়।
কারখানাটি গড়ে তুলেছে ক্ষমতাবান একটি চক্র।
প্রসাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে ঔষুধ তৈরী করছে এই চক্রটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের আমানউল্লাহর ছেলে আব্দুল আলিম (৩৫), পৌরসভার শমসের আলীর ছেলে মো. লাল মিয়া (৪২), হাসান আলীর ছেলে জয়নাল (৩২) ওই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে কারখানাটি গড়ে তোলে।
দীর্ঘদিন যাবত কারখানায় মানহীন ঔষুধ (মেক্স জিন প্লাস) তৈরি করে আসছে।
কারখানায় কোন ক্যামিস্ট না থাকলেও আছে তিন হাজার টাকা বেতনের দুইজন বয়স্ক মহিলা।
কথা হয় তাদের সাথে- তারা বলেন, কাজ কাম নাই তাই এ্খানে কাজ করি। তারা আরও বলেন, আমরা বোতলজাত করিনা; আমরা শুধু লেবেল লাগাই।
গরু মোটাতাজাকরণ ভিটামিন তৈরি করে দেদারছে বাজারজাত করে আসছে এ চক্রটি।
কারখানার বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন,আমরা নতুন ব্যবসা শুরু করছি তাই কাগজপত্র দপ্তরে আবেদন করা আছে।
ঔষুধ কারখানার মালিক আব্দুল আলিম, জয়নাল ও লালমিয়া বলেন, এ উপজেলায় আমাদের ছাড়াও আরও অনেকেই এ ধরনের কারখানা তৈরী করে ব্যবসা করে আসছে।
এলাকার এক কৃষক বলেন, এ বিল্ডিয়ে দিনের বেলায় বাহিরে তালা ঝুলিয়ে ভিতরে ঔষুধ তৈরি করে। দিনের বেলায় এরা কাজ কম করলেও রাতভর চলে এদের কাজ।
আমাদের এলাকা হলেও আমরা ভিতরে যেতে পারিনা। শুনছি এখানে গরুর ভিটামিন বানায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক বলেন, নিয়ামতপুর থেকে একটি ছেলে এসে এই ঔষুধের কারখানা দিছে।
তারা গরু মোটাতাজাকরণের নকল ওষুধ তৈরির কারখানাটি সিলগালা ও ক্যামিস্টকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করার দাবিও জানান।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিয়া চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, আমি একটি অনুষ্ঠানে আছি।
কারখানাটি কোথায় তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে রাখেন। দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার