ঘাটাইল প্রতিনিধি : কখনো মুষলধারে, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি – এভাবেই বৃষ্টি চলতে থাকে টানা তিন দিন ধরে।
মাঘ মাসের হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হয় এই বৃষ্টি।
আর অসময়ের এই বৃষ্টিতে কাঁচা ইট ভিজে নষ্ট হয়ে ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আর এতে অনেক মালিক মূলধন খোয়ানোর শঙ্কায় পড়েছেন।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ৫৬টি ইটভাটার মালিকরা এমন দাবি করেছেন।
শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ইটভাটার যেসব কাঁচা ইট রোদে শুকিয়ে পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল বৃষ্টিতে ভিজে প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
অনেক ইটভাটায় পানি জমে ইট প্রস্তুত করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন ইটভাটার পাঁচ সহস্রাধিক শ্রমিক।
মৌ ব্রিকস-১ ও ২ এর মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, অসময়ের বৃষ্টিতে দুটি ভাটায় প্রায় ৪০ লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে।
এক হাজার কাঁচা ইট তৈরিতে নির্মাণ খরচ হয় প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা; সেই হিসাবে আমার নিজের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আবার উৎপাদনে যেতে হলে নতুন করে শুরু করতে হবে। মৌসুমের শুরুতেই বড় ধরনের ক্ষতি, যা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’
লাউয়াগ্রাম এলাকায় অবস্থিত ঘাটাইল ব্রিকসের ম্যানেজার মিথুন মিয়া বলেন, রোদে শুকিয়ে যেসব ইট পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল; অসময়ে বৃষ্টির পানিতে ভাটার প্রায় পাঁচ লাখ কাঁচা ইট পানিতে ভিজে গলে মাটিতে মিশে গেছে।
এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা বলেন, ঘাটাইল উপজেলায় ৫৬টি ইটভাটা রয়েছে।
এক সপ্তাহ যাবৎ ভাটা মালিকরা কাঁচা ইট তৈরি করে রোদে শুকিয়ে তা পোড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
কিন্তু অসময়ের বৃষ্টির পানিতে গলে প্রায় সব ইটই নষ্ট হয়ে গেছে। এর ফলে ভাটা মালিকদের গড়ে ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে নতুন করে ইট প্রস্তুত ও পোড়ানোর কাজ শুরু করতে হবে। ফলে এ বছর ইটের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে ইটের সংকট দেখা দিতে পারে। সম্পাদনা – অলক কুমার