ঘাটাইল প্রতিনিধি : ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সঠিক ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হোসেন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
ওই বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ মার্চ ঘাটাইলের ইউএনও মো. সোহাগ হোসেন বিদায়ী সাক্ষাৎ ও সংবর্ধনা নিতে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যান।
এ সময় তিনি ভর্তি নিয়ে নানা অভিযোগ পেয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ভর্তির খোঁজখবর নেন।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা পর্যালোচনা করেন। সময় অনুমোদিত তালিকার বাইরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছয়জন এবং সপ্তম শ্রেণিতে ১৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির তথ্য পান।
কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই ছাত্র ভর্তি করায় ইউএনও ক্ষুব্ধ হন এবং সংবর্ধনা না নিয়েই সেখান থেকে চলে যান।
ওই দিনই এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হবে।’
ফারজানা ইয়াসমিনকে আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন তিনি।
কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এ ছাড়া ইউএনও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আলাদা চিঠি দিয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে অসদুপায় অবলম্বন ও বৈধভাবে ছাত্র ভর্তির ব্যাখ্যা চানতে চান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেষ কার্যদিবসে ইউএনও মো. সোহাগ হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে নতুন ইউএনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এ সংক্রান্ত চিঠি এখনো হাতে পাইনি।
ভর্তির ব্যাপারে কোনো অনিয়ম হয়নি। আমার পক্ষে এককভাবে কোনো অনিয়ম করা সম্ভব নয়।’ সম্পাদনা – অলক কুমার