আদালত প্রতিবেদক : চুরির অপবাদ সহ্য করতে না পেরে কাঠ ব্যবসায়ী সাবেক মালিককে হত্যা করে দোকানের কর্মচারী।
ঘটনার আড়াই মাস পর ওই যুবককে গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়।
রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জেলা পুলিশের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের সন্তোষ বাগবাড়ি যক্ষ্মা হাসপাতালের সামনে থেকে সামছুল হক (৫৫) নামের এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে তার ভাই বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে সামছুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গদুরগাতি গ্রামে বুদ্ধু মিয়ার ছেলে ইয়াছিন মিয়াকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ইয়াছিন ৬ মাস আগে সামছুল হকের কাঠের দোকানে মাসিক এক হাজার পাঁচশ’ টাকা বেতনে কাজ করতেন।
তাকে বিভিন্ন সময় চুরির অপবাদ দেয়া হতো। সর্বশেষ ৭ মাস আগে তার দোকান থেকে কুড়াল হারিয়ে যায়।
সেই চুরির অপবাদও ইয়াছিনকে দেয়া হয় এবং তার বাবাকে ডেকে এনে ইয়াছিনকে মারধর করানো হয়। আর সেই আক্রোশে তিনি দোকান ছেড়ে চলে যায়।
ঘটনার দিন রাতে সামছুল হক মোবাইল ব্যবহার করতে করতে বাড়ি ফিরছিলেন, ঠিক ওই সময় ইয়াছিন লাঠি দিয়ে তার পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে; সামছুল মাটিতে পরে যাওয়ার পর ইয়াছিন চলে যায়।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর ইয়াছিন এসে দেখতে পায় সামছুল সেখানেই জীবিত অবস্থায় পড়ে আছেন।
পরে পুনরায় তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সামছুলের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়।
কিছুদিন আগে সামছুলের ফোনে অন্য সিম ব্যবহার করে কথা বলে ইয়াছিন; সেই সূত্র ধরেই ইয়াছিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যা কথা স্বীকার করেন ইয়াছিন।
এই হত্যাকাণ্ডটি তিনি একাই ঘটিয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার। পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পরিবার টাঙ্গাইল পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে খবরবাংলাকে জানান, পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমেই এই মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার