জনকণ্ঠে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। সম্পাদক শামীমা এ খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে একদল কর্মী গঠন করেছে একটি নতুন সম্পাদকীয় বোর্ড। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পত্রিকাটির অভ্যন্তরে।
এই ঘটনা ঘটে শনিবার (৩ আগস্ট), যখন পত্রিকার মালিকপক্ষ জনকণ্ঠের কিছু কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ওই কর্মীরা সম্পাদককে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন এবং মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, এই কর্মীরা সবাই গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে জনকণ্ঠে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তারা বলেন, পত্রিকাটির ভবিষ্যৎ রক্ষায় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জনকণ্ঠের বর্তমান সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খান অভিযোগ করেছেন, “একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে জনকণ্ঠ ভবনে ‘মব’ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে দখল নিতে চেয়েছে।” এই অভিযোগ তিনি গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) অবসরপ্রাপ্ত মেজর আফিজুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও পত্রিকাটির পরিকল্পনা উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন শিশির, এবং বিএনপি ও জামায়াতপন্থী কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উত্থাপন করেছেন।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল আবেদীন শিশির বিবিসি বাংলাকে বলেন,
“দখলের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এখনো মালিকানা বা প্রকাশনায় নেই। কেবল একটি সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করেছি কর্মরতদের সর্বসম্মতিতে।”
তিনি আরও জানান, পত্রিকাটির প্রকাশনা ও ভবিষ্যৎ ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এটি কোনো রাজনৈতিক দখলের চেষ্টা নয়।