সংবিধান, নির্বাচন পদ্ধতি ও বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রস্তাবের সঙ্গে জুলাই সনদ চূড়ান্ত হওয়ার পথে। তবে জাতীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর (Proportional Representation) পদ্ধতি নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি চলছে।
বিএনপি ও সমমনাদল নিম্নকক্ষে আসনভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব চান, যদিও উচ্চকক্ষে তারা পিআরের পক্ষে। অন্যদিকে, জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামী দল সংসদের দুই কক্ষেই পিআরের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মধ্যপন্থা গ্রহণ করেছে। কমিশন উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির সুপারিশ করলেও, নিম্নকক্ষে আসনভিত্তিক পদ্ধতিকে প্রাধান্য দিয়েছে।
কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “পিআর এবং আসনভিত্তিক পদ্ধতির উভয়ই সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নিম্নকক্ষে আসনভিত্তিক পদ্ধতি প্রাথমিকভাবে সরকারের স্থিতিশীলতা ও ভোটার-সদস্য যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। আর উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তন করলে ভোটের সঠিক প্রতিফলন এবং জাতীয় স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “নিম্নকক্ষে পিআর প্রবর্তন করলে ভোটের ব্যবধান কম হলেও অস্বাভাবিক ফলাফল হতে পারে। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ দেখালে বোঝা যায়, ভোটের ব্যবধান ও আসনের বণ্টন সব সময় সমানভাবে মিলে না।”
ড. বদিউল আলম যোগ করেন, “পিআর পদ্ধতির ভালো-মন্দ বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতা করতে হবে।”