বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
পুনরায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নিজ উপজেলা সখীপুরে তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রোববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ মাঠে সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ নাম দিয়ে সংসদ সদস্যের অনুসারীরা এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তবে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় তাঁদের অনুসারীদের কাউকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, গত ৭ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
গত দুই মাস আগে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের দূরত্ব তৈরি হয়।
এরমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হন।
এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান না করায় সংসদ সদস্যের অনুসারীরা সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে তাঁকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন।
সংবর্ধেয় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম।
এছাড়াও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুয়াপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের সভাপতি সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আলীম মাহমুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
রাতে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম গান পরিবেশনের মাধ্যমে হাজার হাজার দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত সিকদার সংবর্ধনা প্রসঙ্গে বলেন, ওই তথাকথিত সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের কেউ আমাদের আমন্ত্রণ জানাননি; এ কারণে আমরা ওই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।
এ প্রসঙ্গে সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চের সভাপতি পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটির আয়োজক আওয়ামী লীগ নয়।
পৌরসভার নাগরিকদের পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে আমন্ত্রণও দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য যেহেতু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেহেতু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। সম্পাদনা – অলক কুমার