অলক কুমার : টাঙ্গাইলে ঘন কুয়াশার কারনে পৃথক ১৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ছাত্রসহ তিন জন নিহত হয়েছে।
এতে অন্তত আরো ১৭ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ধল্লা থেকে মির্জাপুর চরপাড়া এক কিলোমিটারে অন্তত ১৬টি দুর্ঘটনা, সদর উপজেলার মাদারজানি এলাকা ও ভূঞাপুরের জগৎপুরা এলাকায় এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মোল্লাহ টুটুল নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৯টায় মহাসড়কের ধল্যা-মনসুর এলাকায় ঢাকামুখী লেনে পিকআপভ্যানের পেছনে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিটি বাসের হেলপার। লাশ থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইলের ট্রাফিক সার্জেন্ট মোস্তাক আহমেদ জানান, সকাল থেকে মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ১৫/১৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকামুখী লেন বন্ধ রয়েছে। তবে সার্ভিস লেন দিয়ে যানবাহন চলছে। মহাসড়কে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভুঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সাথে সিএনজির সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু ছাত্র নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্র ইশরাক (২০) জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার থল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে; এতে আহত হয়েছে আবু সাঈদ ও সোলায়মান।
স্থানীয়রা জানান, সরিষাবাড়ি থেকে টাঙ্গাইল আসার সময় জগৎপুরা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই কলেজ ছাত্র ইশরাক মারা যায়। এতে আহত হয় ইশরাকের বাবাসহ আরো দুইজন আহত হয়।
ইশরাকের স্বজনরা জানান, বাবার সাথে ইশরাক টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যাচ্ছিল।
কিন্তু ভর্তি হতে পারলো না ইশরাক। অপরদিকে টাঙ্গাইল শহর থেকে এক যুবক মোটরসাইকেল যোগে মির্জাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন।
মহাসড়কের করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানী এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি।