নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পরেছে এক ছাত্র।
ওই ছাত্র শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির সাবেক শিক্ষার্থী মো. রায়হান কবির।
সে তার বন্ধু মো. সায়েম এর রেফার্ড পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে কেন্দ্রে পরীক্ষার কক্ষে শিক্ষকদের কাছে ধরা পড়ে।
পরে প্রক্সি পরীক্ষার্থীকে এক বছরের কারাদণ্ড ও মূল পরীক্ষার্থীকে তিন শিক্ষাবর্ষের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমিত না দেয়ার সুপারিশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে বন্ধু মো. সায়েম এর চতুর্থ সেমিস্টার এর ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের রেফার্ড পরীক্ষা দিতে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে প্রবেশ করে মো. রায়হান কবির।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর প্রক্সি দিতে আসা পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্রে মূল পরীক্ষার্থীর ছবি মিল না পাওয়ায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক খাতাটি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করে।
পরে ওই প্রক্সি পরীক্ষার্থী রায়হানকে ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষে কক্ষে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থী তার অপরাধ স্বীকার করেন।
সে বর্তমানে ঢাকায় একটি বেসরকারি চাকরি করে; তার বন্ধুও বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের অক্সফোর্ড কলেজ অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে অষ্টম পর্বে অধ্যয়নরত।
প্রক্সি পরীক্ষার্থী মো. রায়হান কবির বলেন, ‘আমার বন্ধু মো. সায়েম চতুর্থ সেমিস্টারের ড্রয়িং-২ (ক্যাড) বিষয়ের পরীক্ষায় একাধিকবার অংশগ্রহণ করে ফেল করায় আমাকে অনুরোধ করে।
বন্ধুর অনুরোধে আমি এই পরীক্ষাটি দিতে এসেছি।
কেন্দ্র সচিব টাঙ্গাইল পলিটেক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ বি.এম. আমিনুল ইসলাম জানান, বন্ধুর হয়ে পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসে ওই ছাত্র।
অন্যের হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সমন্বিত শৃঙ্খলা বিধির ১.১৯ ধারা অনুযায়ী পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে।
পরে তাকে পরবর্তী তিন শিক্ষাবর্ষের জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি না দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে।
টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার বাবলী শবনম বলেন, প্রক্সি দিতে আসা পরীক্ষার্থীকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৩ এর “খ” ধারায় এক বছরের কারাদণ্ড এবং দুইশত টাকা জরিমানা করেছে।