নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে বিয়ের পাত্রী দেখার নাটক করে এক প্রতিবেশীর মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষনের অভিযোগে আব্দুর রহিম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)-১৪ এর একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোমবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার বারুয়া বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রহিম জামালপুরের কটারবাড়ি এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে।
কোম্পানী কমান্ডার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, আব্দুর রহিম বিবাহিত থাকলেও তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।
এ কারনে রহিম আবার বিয়ে করবেন বলে এলাকায় প্রচার করতে থাকেন।
গত ২৬ জুন পাত্রী দেখার কথা বলে আব্দুর রহিম স্বামী পরিত্যাক্ত প্রতিবেশী বোনকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা চেচুয়া বাজার এলাকায় নিয়ে যান।
সেখান থেকে অটোরিক্সাযোগে রহিমের পূর্বপরিচিত শফিকুলের বাসায় নিয়ে যান।
পরে সেখান থেকে চা-নাস্তা খাওয়ার পর অপর সহযোগী সামছুল হক একটি ভ্যানগাড়ি নিয়ে আসেন।
এরপর বিকালে সেই ভ্যান গাড়িযোগে পাত্রীর বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় অন্ধকার হয়ে গেলে এক নির্জন জায়গায় আনারস বাগানের ভিতর দিয়ে নিয়ে যেতে থাকে।
এসময় ওই নারীর সন্দেহ হলে চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে রহিম, শফিকুল ও সামছুল গামছা দিয়ে ওই নারীর হাত, পা ও মুখ বেধে বনের ভেতর একটি টং ঘরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষন করে।
পরদিন ভোরে ওই নারী কৌশলে তার দুঃসস্পর্কের চাচা সবুজ মিয়াকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এ সময় রহিম, শফিকুল ও সামছুল তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় যাতে এ ঘটনা কেউ না জানে।
এ ঘটনায় ওই নারী মধুপুর থানায় ৩ জনকে আসামী করে অপহরণ ও ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
সোমবার বিকালে রহিমকে মধুপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।