ভূঞাপুর সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বীমা করার কথা বলে আলমগীর হোসেন তালুকদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে এক কিশোরসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃত আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর ভূঞাপুর জোনাল অফিসের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- জেলার কালিহাতী উপজেলার সিলিমপুর গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে রাজু আহমেদ (২৫)।
অপরজন একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে কিশোর রাকিব মিয়া (১৫)।
এ ঘটনায় রাজু আহমেদ ও রাকিবকে আসামি করে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে আলমগীর হোসেন তালুকদারের ছোট ভাই মাহমুদুল হাসান তালুকদার।
এরআগে অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া এলাকা থেকে রাকিব ও ঢাকা থেকে রাজু আহমেদকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে যা জানা যায়
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকালে অভিযুক্ত রাজু ও রাকিব মোবাইল ফোনে একটি বীমা করার কথা জানায়।
আলমগীর তাদের সাথে কথা বলে ওই বীমা কোম্পানীর ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম তুহিনের সঙ্গে শিয়ালকোল ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত যান।
পরে রাজু সেখানে আসে এবং আলমগীর হোসেনকে বলে আপনার বাড়িতে গিয়ে কথা বলি।
এরপর অভিযুক্তরা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে আলমগীরকে কালিহাতীর নিশ্চিন্তপুর এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি ও অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেন।
একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে আলমগীর তালুকদার তার স্ত্রীকে ফোন করে নগদের পিন নম্বর নিয়ে মুক্তিপণের প্রায় ৪১ হাজার টাকা প্রদান করে।
অপহৃত আলমগীরের বক্তব্য
অপহৃত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, অফিসের কাজকর্ম শেষে প্রতিদিনের মতো যথাসময়ে বাড়ি না ফেরায় আামরা স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি শুরু করি।
রাত সাড়ে ৭ টার দিকে ফোনে আমার স্বামী আলমগীর জানায় তার ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে তার ব্যবহৃত ফোনের নগদের পিনকোড নেন।
তিনি আরও জানান, কয়েক দফায় টাকা চাওয়ায় আমার কাছে সন্দেহ হলে বুঝতে পারি তাকে কেউ অপহৃরণ করেছে।
বিষয়টি দেবর মাহমুদুল হাসানকে জানানো হলে সে ভূঞাপুর থানা পুলিশকে জানায়।
পরে থানা পুলিশ সদস্যরা রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে কালিহাতী ও ঢাকা থেকে অভিযুক্তদের আটক করে।
প্রশাসনের বক্তব্য
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ্ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজু আহমেদ ও তার সহযোগী রাকিব নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেইসাথে ৩৩ হাজার ৫’শ টাকা, ২টি মোবাইল ও রাজুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।