অলক কুমার : নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে টাঙ্গাইলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ভাসানীর ভক্ত ও অনুসারীরা সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করে।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিস প্রফেসর ড. ফরহাদ হোসেন মাজারে পুস্পস্তবক অর্পনের মধ্যদিয়ে কর্মসচির সুচনা করেন।
এরপর ভাসানীর পরিবারের পক্ষ থেকে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
প্রতিবছরের মত এবারও অন্যান্য কর্মসুচির মধ্য ছিল মওলানা ভাসানীর মাজার চত্বরে রান্না করা খাবার বিতরন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রিয় ভাইচ চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
এ সময় তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন।
তিনি বেঁচে থাকলে আজকে দেশের যে পরিস্থিতি চলছেতার বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়াতেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি শান্তিপুর্ন সমাবেশ করছে। আগামী ১০ তারিখে আওয়ামী লীগ প্রতিহতের ভাষায় যদি রাস্তায় নামে আমাদের জবাবও সেই ভাষায় দেয়া হবে। সরকার আগে থেকেই খারাপ কিছু মাথার মধ্য রেখে দেশবাসী, পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে।
সকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন শেষে বলেন, তিনি আরো বলেন, মওলানা ভাসানীর মতো একজন মানুষকে যদি যথাযথ সম্মান দিতে না পারি, তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা কোন সম্মান দিতে পারবো না।
মানুষকে সম্মান করা শিখতে হবে, প্রবীণদের সম্মান করতে হবে।
আমরা যে চিন্তা ও ভালাবাসা এবং আর্দশ দিয়ে দেশকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, আজকে তার কিছুই নেই। এটাকে মানুষের স্বাধীনতা বলে না।
শুধু কথা বলতে পারলেই যে স্বাধীনতা তা নয়। স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের মর্যাদা, মানবিক বোধ, ভালোবাসা।
আগামী নির্বাচন যদি ভালো না হয়, ৫৪ এবং ৭০ এর মতো যদি না হয়।
তাহলে দেশের জন্য ভয়াবহ পরিনতি অপেক্ষা করছে বলেও মন্তব্য করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
এদিকে গনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি তার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ভাসানীর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করেন।
এ সময় তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর আজীবন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন।
তিনি ছিলেন নির্যাতন নিপিড়ন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন বজ্রকন্ঠস্বর।
জুনায়েদ সাকি বলেন, গনসংহতি আন্দোলন, গনতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপিসহ যারাই সভা সমাবেশ করছে তারাই বাধার সম্মুখিন হচ্ছে।
সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। একটি যুগপদ ধারায় অভিন্ন লক্ষ্যে আন্দোলন পরিচালিত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।