টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের নামে সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগমের বাড়ি থেকে সাড়ে আট লাখ টাকা লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে এখন পর্যন্ত একজনের শাস্তি হলেও বাকি চারজন বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৮ জুন টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাহাদিপুর এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে এ ঘটনা ঘটে। অভিযানে অংশ নেন টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
ভুক্তভোগী ছালেহা বেগম অভিযোগ করেন, ওই অভিযানের সময় তার বাড়িতে ঢুকে ঘর তছনছ করে সাড়ে আট লাখ টাকা লুটে নেয়া হয়। এ সময় তাকে ও তার ছেলের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির হুমকি দেওয়া হয় এবং তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো অপরাধ করিনি, তবু আমাদের সঞ্চিত টাকা নিয়ে গেছে। আলমারির চাবি জোর করে নিয়ে টাকাগুলো নিয়ে যায়। পরে ভুয়া ভিডিও বানিয়ে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।’’
গত ৯ জুলাই মূল অভিযুক্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিদর্শক শামীম আল আজাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ৭ জুলাই আরও তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সিপাই আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফরহাদ আলী, প্রবাল চন্দ্র সরকার ও সুমাইয়া আক্তারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবুল হোসন বলেন, ‘‘আমাকেও বদলি করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে প্রধান কার্যালয়।’’
ছালেহা বেগম অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বরখাস্ত ও লুট হওয়া সাড়ে আট লাখ টাকা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।