বিশেষ প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে শহরের সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়ায় শনিবার (২২ জুন) সকালে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিলেছে।
পরে সেটিকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সাবেক জিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদের বাসার গেটে পাওয়া যায় এ সাপটি।
এদিকে পুরো জেলা জুড়ে চলছে রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপ আতংক।
অনেকে উপজেলার বিভিন্নস্থানে সাপটি দেখা গিয়েছে বলে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে আতংক ছড়াচ্ছেন।
আবার সেই পোষ্টটি মিথ্যা বা গুজব বলে নতুন পোষ্ট দিচ্ছেন।
অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান শহরে শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি বাসার নিচে চেম্বারে বসে কাজ করছিলাম।
বৃষ্টির মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় আমার বাসার এক ভাড়াটিয়া বাইরে যাওয়ার সময় দেখেন একটি রাসেল ভাইপার সাপ গেট পেরিয়ে বাসার ভিতরে প্রবেশ করছে।
তখন তিনি ডাকাডাকি করলে আমার চেম্বারের লোকজন গিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। এরপর থেকে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সাপ যেহেতু একসাথে ৫০ থেকে ৬০টি বাচ্চা দেয়। সেহেতু বাসার আশেপাশে আরো সাপ থাকতে পারে।
আমাদের এই মহল্লায় সাপ নিধনে দ্রুত অভিযান চালানো জরুরি।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাপে কাটা এক মৃত ব্যক্তির (আবু সাইদ) ছেলে শহিদুল ইসলাম শান্ত বলেন, কয়েকবছর আগে আমার বাবাকে সাপে কাটার পর টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরতরা অবহেলা করে অ্যান্টিভেনম ডোজ দেয়নি।
পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়।
আমি চাই আর কেউ যেনো সাপের কামড়ে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়। এজন্য কর্তৃপক্ষকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।
টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদুজ্জামান জানান, আমরা মূলত বণ্য প্রাণি নিয়ে কাজ করি।
বর্তমানে সারাদেশে রাসেল ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি জানলাম। উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।
সিভিল সার্জনের বক্তব্য –
টাঙ্গাইলের সিবিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন রাসেল ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া সাপে আতংকিত না হয়ে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ১০টি করে অ্যান্টিভেনম ডোজ এবং জেলায় ১০০টি ডোজ সংরক্ষিত আছে।
প্রয়োজনে এর পরিমাণ আরো বাড়ানো হবে। আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।
সিভিল সার্জন আরো বলেন শুনেছি জেলার সখিপুরে একজনকে সাপে কামড় দেয়।
পরে দেরিতে হাসপাতালে আনা হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে তাকে রেফার্ড করলে সেখানে তিনি মারা যান।
এছাড়া টাঙ্গাইলে আর কাউকে সাপে কাটার খবর পাই নি।