বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) ট্রাইবুন্যালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
রায়ে অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- গোপালপুরের ভেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী কৃষ্ণ দাস, ধনবাড়ী উপজেলার ইসপিঞ্জাপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান।
অপর আসামি একই গ্রামের মো. মেহেদী হাসান টিটুকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার এক স্কুলছাত্রী ২০২১ সালের ২ আগস্ট বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়।
পরে ৪ আগস্ট ভুঞাপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পাড় থেকে মেয়েটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তখন মেয়েটির পরিচয় না জানায় ময়নাতদন্তের পর বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহটি উপজেলার ছাব্বিশা কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরে পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ছবি দেখে স্বজনরা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
পরে নিহতের বাবা বাদী হয়ে ৬ আগস্ট ভুঞাপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তে কৃষ্ণ দাস, হৃদয়, মিজানুর রহমান ও মো. মেহেদী হাসান টিটুর নাম উঠে আসে।
তাদের ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে কৃষ্ণ দাস, সৌরভ আহমেদ হৃদয় ও মিজানুর রহমানকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সম্পাদনা – অলক কুমার