টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা মো. সোহাগ মন্ডল, মিন্টু, মোশাররফ, জসিম, আমিনুল, আনোয়ার ও ময়নাল।
সকালে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৮ আগস্ট ভোর রাতে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বনিকের বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীদ্বয়কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, রূপার গহনা, পিতলের প্রতিমা মূর্তি ও মোবাইল ফোনসেটসহ ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে। ডাকাতির সময় অমল বাঁধা প্রদান করলে ডাকাতরা ধারালো ছোরা দিয়ে বাদি অমলের বাম হাতের কব্জির উপর পোঁচ মেরে রক্তাক্ত কাঁটা জখম করে। ডাকাতির সময় এলাকার লোকজন অমলের ডাক চিৎকারে টের পেলে পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
এই সংক্রান্তে অমর বনিক বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ২৪ আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে অত্র মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে নিজেকে জড়িয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের জন্য একাধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পরবর্তীতে আসামী ও গুপ্তচর হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অত্র ডাকাতির ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড মিন্টুকে মঙ্গলবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া গ্রেফতার করা হয়। মিন্টুর দেখানো মতে অন্যান্য আসামীদের বিভিন্ন সময়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করা হয় এবং লুণ্ঠিত মালামাল স্বর্ণ ও রুপা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছে। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, ৫ রতি স্বর্ণ ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।