টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নের জাহানখালী খালের উপর নির্মিত ৪০ বছরের পুরোনো সেতু এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটিতে চারটি বড় গর্ত তৈরি হয়ে পড়ায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শঙ্কায় পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে।
জানা গেছে, দেলদুয়ার-আরমোষ্ঠা সড়কের লৌহজং নদীর পাশে জাহানখালী খালের উপর নির্মিত এই সরু সেতু দিয়ে চরপাড়া, টুকচানপুর, মেরেগনা, ফুলতারা, আবাদপুর, এলাচিপুর, জাঙ্গুলিয়া, বাথুলি, মোষ্ঠা, আরমোষ্ঠা, কামান্নাসহ ১২টি গ্রামের প্রায় এক লাখ মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে।
সম্প্রতি সেতুর বিভিন্ন স্থানে চারটি বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা গর্তগুলোতে গাছের ডাল বসিয়ে সতর্কতা চিহ্ন দিয়েছে। স্কুলগামী শিশু, সাধারণ পথচারী, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, অটোভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল, এমনকি কৃষিপণ্য পরিবহনও এই সেতুর উপর দিয়েই হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
অটোরিকশা চালক অনিল বলেন, “এই সেতুটি গ্রামের জন্য একমাত্র সড়ক সংযোগ। সাত বছর ধরে এই রুটে অটোরিকশা চালাই, দুই বছর ধরে গর্তের জন্য অতিমাত্রায় সাবধানে চলতে হয়।”
আরমোষ্ঠা গ্রামের বাসিন্দা সহিদুর রহমান খান, মফিজ মিয়া, হুমায়ুন খানসহ অনেকে জানান, সেতুটি পুরনো হওয়ায় পলেস্তারা ও সিমেন্ট ক্ষয়ে রড বের হয়ে গেছে। স্থানীয়রা কয়েক বছর আগে নিজেরাই রঙ করে সেতুকে নতুন রূপ দিয়েছিল। এখন চারটি বড় গর্তে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগে একটি মিনি ট্রাক উল্টে পড়ে যায়। ইজিবাইক, অটোরিকশা ও ভ্যান প্রায়ই গর্তে পড়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে।
স্থানীয়রা দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ জানান, “স্থানীয়দের আবেদনের ভিত্তিতে সেতুটি মেরামতের জন্য প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি বরাদ্দ পেলে নতুন সেতু নির্মাণের সম্ভাবনাও যাচাই করা হবে।”