টানা তিন অর্থবছরে টাঙ্গাইল এলজিইডি রোলার ভাড়া আদায়ে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রোলার মেশিন ভাড়া থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের জেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয় করেছে, যা তাদের ‘দেশ সেরা’ অবস্থান নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও বিগত দুই অর্থ বছরেও এলজিইডির রোলার ভাড়া আদায়ে দেশ সেরার কৃতিত্ব অর্জন করেছে। টাঙ্গাইল এলজিইডি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে টাঙ্গাইল এলজিইডি অধীনে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পে দুই হাজার ৬৭৮ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রাক্কলিত মূল্যের কাজ পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৮ কোটি ৬৭ লাখ ৩১ হাজার ৭২৬ টাকার সড়ক উন্নয়নের বিপরীতে রোলার মেশিন ভাড়া থেকে ২ কোটি ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৩ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
মাস ভিত্তিক হিসেবে রোলার ভাড়া রাজস্ব আয় জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উল্লেখযোগ্য। জুলাইয়ে ৩৭ কোটি ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৪ টাকার ব্যয়ের বিপরীতে ৩১ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ টাকা, আগস্টে ৫ কোটি ৬ লাখ ৮২ হাজার ২০০ টাকার ব্যয়ের বিপরীতে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৫ টাকা এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন মাসেও যথাক্রমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) বিপ্লব হোসেন জানান, রোলার মেশিনগুলো সবসময় সচল রাখা ও বিকল হলে দ্রুত মেরামত করা এবং ঠিকাদারদের চাহিদামত রাস্তায় সরবরাহ করায় ধারাবাহিকভাবে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিমওয়ার্কের মাধ্যমে দিনের কাজ দিনে করার নীতি মেনে চলার কারণে রোলার মেশিন ভাড়া ও ল্যাবরেটরী টেস্ট ফি আদায়ে টাঙ্গাইল এলজিইডি ধারাবাহিকভাবে রেকর্ড সৃষ্টি করছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”
উল্লেখ্য, গত চার অর্থবছরেও টাঙ্গাইল এলজিইডি রোলার মেশিন ভাড়া থেকে সর্বোচ্চ রাজস্ব আয়ে শীর্ষে রয়েছে।











