নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে গ্যাস বিস্ফোরণ হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এতে আশেপাশের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে একমাত্র নারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডা. প্রিয়াংকা
জানা যায়, শহরের মেইন রোডে রাস্তা ও ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে।
ঠিকাদারের গফিলতিতে অদক্ষ চালক দিয়ে ভেকু চালনার কারনে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনের প্রধান পাইপ ফেটে যায়।
এরপর প্রচন্ড বেগে গ্যাস আওয়ামী লীগের অফিসের দরজার নিচ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে।
অফিসবদ্ধ থাকায় গ্যাসের চাপে বিষ্ফোরণে ৫টি এসি, ১৬টি ফ্যান, ২টি কম্পিউটার, চেয়ার-টেবিল ও আলমারিসহ অধিকাংশ মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন বলেন, এই কাজ চলাকালীন সময় ভেকু মেশিনের আঘাতে বেশ কয়েকটি দোকান ও রাস্তায় চলমান যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা এমন ভাবে ভেকু চালায় যেন জীবনের প্রথম দিন ভেকু চালাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম বলেন, রাস্তার উন্নয়ন কাজের সময় ভেকুর আঘাতে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন পাইপ ফেটে গ্যাস মেইন রোডে ছড়িয়ে যায়।
বিভিন্ন ভবন ও আমাদের আওয়ামী লীগ অফিসে প্রবেশ করে। গ্যাসের কারনে অফিসের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যবহারের উপযোগী করতে অফিস সংস্কার করতে হবে। এর দায় ঠিকাদারকেই নিতে হবে।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন বলেন, গ্যাস বিস্ফোরনের ঘটনায় ঠিকাদারের ত্রুটি আছে কি না সেটা তদন্ত হবে।
আরো পড়ুন – অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
যদি ক্রটি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টাঙ্গাইল তিতাস গ্যাসের ম্যানেজার প্রকৌশলী খোরশেদ আলম বলেন গ্যাস লাইনের ত্রুটির কারনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস এবং আমাদের টীম গিয়ে লাইন বন্ধ করে দেয়।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে করা হয়েছে।