নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদের ছুটি শেষ করে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। উত্তরবঙ্গ থেকে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ফিরছে মানুষ।
তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ নেই। স্বাভাবিক সময়েরও কম সময়ে গন্তব্যে ফিরতে পারছে মানুষ।
এতে স্বস্তিতে গন্তব্যে ফিরতে পারছে মানুষ।
এ দিকে মহাসড়কে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রাজশাহী, নাটোর, পাবনাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে মহাসড়কের হাতিয়া, এলেঙ্গা, পৌলি, রসুলপুর, বিক্রমহাটি ও রাবনা এলাকায় ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
প্রাইভেটকার চালক আল আমিন বলেন, আগে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসতে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা সময় লাগতো। আজকে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল আসতে সোয়া এক ঘন্টা সময় লেগেছে।
ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কম। তাই কোথাও কোন যানজট বা গাড়ি চাপ দেখা যায়নি। এক টানে টাঙ্গাইল এসেছি।
দিনাজপুর গামী যাত্রী রুবেল মিয়া বলেন, আগে যেতে ৪/৫ শ টাকা খরচ হলেও আজকে ১২ শ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে।
অন্য ঈদে দ্বিগুণ ভাড়া নিলেও মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় দ্বিগুণের বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বগুড়াগামী বাস চালক মির্জা শাহাদত বলেন, রোযার মধ্যে তেমন কামাই করতে পারিনি। ধার করে ঈদ করতে হয়েছে। তাই ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি; অবশ্য একটি মামলাও খেয়েছি। তবে যাত্রীর সংখ্যা খুই কম।
হাইওয়ে পুলিশের এলেঙ্গা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, মহাসড়কে তেমন যানবাহনের চাপ নেই; সকাল থেকে কোথাও যানবাহনের ঝটলা বা ধীর গতি দেখা যায়নি; স্বাভাবিক গতিতেই চলছে যানবাহন।
দূরপাল্লার বাসকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অনেক বাসের চালক একাধিক মামলা খাওয়ার পরও মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস নিয়ে বের হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার