বান্দরবানের থানচি উপজেলার গহিন পাহাড় থেকে উদ্ধার হওয়া নারী চিংমা খেয়াংয়ের (২৯) মরদেহে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এবং পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার। তারা জানান, সোমবার (৬ মে) তিন্দু ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মংখ্যংপাড়া এলাকার একটি পাথুরে ঝিরির প্রায় ৫০ ফুট গভীর খাদ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চিংমা খেয়াং স্থানীয় বাসিন্দা সুমন খেয়াংয়ের স্ত্রী। সোমবার জুম চাষ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে বিকেলে জুমক্ষেত সংলগ্ন ঝিরিতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান ও কারবারিসহ থানচি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মরদেহের মাথায় রক্তাক্ত চিহ্ন ছিল এবং কাপড়ের কিছু অংশ ছেঁড়া ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ি খাদে পড়ে যাওয়ার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এসব আঘাত ও ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মৃত্যু নিয়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এমন প্রচারণা এলাকায় সহিংসতা উসকে দিতে পারে। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত না হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তারা।