গরমের সাথে এসির শীতল বাতাস আমাদের শরীরকে স্বস্তি দেয়, তবে দীর্ঘক্ষণ এসির নিচে থাকার কারণে ত্বক ও চুলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসির কৃত্রিম ঠাণ্ডা বাতাস ত্বকের আর্দ্রতা শুষে নেয়, যা ত্বকের শুষ্কতা, লালচে ভাব, ফাটা ত্বক, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া এবং দ্রুত বয়সের চিহ্ন সৃষ্টি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসির ভিতরে আর্দ্রতার অভাবের কারণে ত্বকের নিচে থাকা পানির স্তর দ্রুত কমে যায়। এতে স্বাভাবিক, তৈলাক্ত ও শুষ্ক ত্বক সকলেই প্রভাবিত হয়। অতিরিক্ত এসি নির্ভরতা চুলের ক্ষতির কারণও হতে পারে, কারণ ঠাণ্ডা বাতাস চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার কমিয়ে দেয়, যার ফলে চুল ঝরতে পারে।
এসিতে ত্বকের সুরক্ষায় করণীয়:
-
এসির মধ্যে ঢোকার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েল বা ভারী ক্রিম এই জন্য উপযুক্ত।
-
দিনে কমপক্ষে ২-৩ লিটার পানি পান করুন, যা ত্বক ও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে।
-
দীর্ঘক্ষণ এসির নিচে থাকলে মাঝে মাঝে বাইরের তাপমাত্রায় বের হয়ে আসুন।
-
গ্লিসারিন ত্বকের শুষ্কতা কমাতে খুব কার্যকর।
-
ঠোঁটের মসৃণতার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপগ্লস নিয়মিত ব্যবহার করুন।
-
ঘরোয়া পদ্ধতিতে দুধের সর ও গোলাপের পাপড়ি বাটা মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করলে কালো দাগ কমে ও কোমলতা বৃদ্ধি পায়।
এসি ব্যবহারকালে এসব সতর্কতা মেনে চললে গরমেও ত্বক ও চুল স্বাস্থ্যবান রাখা সম্ভব।