চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সংখ্যালঘু নির্যাতনের ৯৪টি ঘটনার সত্যতা পেয়েছে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশি মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সত্যতা উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এসব ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এইচআরসিবিএম-এর আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লাকী বাছাড়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোঅর্ডিনেটর আশিষ কুমার অঞ্জন, ট্রেজারার সাজেন কৃষ্ণ বল, খুলনা বিভাগীয় কোঅর্ডিনেটর সুব্রত মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার জীবন কুমার, হিউম্যান রাইটস এসিস্টান্ট স্বপন বাড়ৈ ও তূর্য রুদ্র, অ্যাডভোকেট সুশান্ত অধিকারী প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৫ আগস্টের পরে থেকে এখন পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্মম অত্যাচার অত্যন্ত ভয়াবহ ও অবর্ণনীয়। জোরপূর্বক সংখ্যালঘুদের ভূমি কেড়ে নেওয়া, বাড়িঘড় লুটপাট, হত্যা, গুম ও নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, চাকুরি থেকে বিচ্যুত করা, জোরপূর্বক দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। যে কারণে দেশের সংখ্যালঘুরা নাগরিকের সব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে বসবাস করছে।
আরো বলা হয়,
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমরা ৯৪টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমাদের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন মাধ্যমে তদন্তে পাওয়া ওই সব ঘটনার সব ডকুমেন্ট আমাদের কাছে রয়েছে। এছাড়া সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সারাদেশে শত শত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। কোথাও কোথাও চাঁদা না দেওয়ার কারণে মামলা দেওয়া হয়েছে।
আবার অনেক এলাকায় মামলা করার এবং পুরানো মামলায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এসব ঘটনা ভুক্তভোগীরা কোথাও বলতে পারছে না এবং থানায় অভিযোগ করতে পারছে না। থানায় বা কোথাও অভিযোগ করলে বাড়িতে এসে জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। অবিলম্বে সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় কারারুদ্ধ ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।