বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি আমদানির অনুমতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খালেদা জিয়ার জন্য বিশেষ ডিজাইনের বুলেটপ্রুফ মিনিবাস এবং তারেক রহমানের জন্য বুলেটপ্রুফ জিপ গাড়ি আনা হচ্ছে। তবে গাড়ির মডেল এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
বিএনপির পক্ষ থেকে চিঠি পাওয়ার পর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রায় পাঁচ মাস আগে তারেক রহমানের গাড়ির অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার গাড়ির আবেদনেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসবি’র (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং গাড়িগুলো জাপান থেকে আমদানি করা হবে।
এদিকে বুলেটপ্রুফ গাড়ির পাশাপাশি একটি শটগান ও দুটি পিস্তলের লাইসেন্সের জন্যও আবেদন করেছে বিএনপি। লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে তারেক রহমান জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার আগমন ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার বলেও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদ্যমান নিরাপত্তা কাঠামো ‘সিএসএফ’ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর। তিনি বলেন, “তারেক রহমান দেশে ফিরলে নির্বাচনী মাঠে সারা দেশ ঘুরে প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।”
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘ প্রতিনিধি ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ির অনুমতি দেওয়া হয়। রাজনৈতিক দলের জন্য এমন অনুমতি অতীতে খুব কমই দেওয়া হয়েছে।
বারভিডা সূত্রে জানা গেছে, জাপান, কানাডা ও জার্মানিতেই মূলত বুলেটপ্রুফ গাড়ি তৈরি হয়। একটি গাড়ি কিনতে ব্যয় হয় প্রায় ২ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ কোটি ৪৪ লাখ)। শুল্কসহ আনতে গেলে খরচ দাঁড়াতে পারে প্রায় ২২ কোটি টাকা।