টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের ৪ টন খাদ্যশস্য কোনো কাজে লাগেনি। বরং তা অপচয় হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের অডিটরিয়ামের সামনে খালের পাড় সংস্কারের জন্য কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ৪ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে বাস্তবে নামমাত্র কয়েক ট্রাক মাটি ফেলে কাজ শেষ দেখানো হয়।
এ ঘটনায় দেলদুয়ার উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রওশন করিমের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে পিআইও রওশন করিম বলেন, “বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের টাকায় যতটুকু মাটি পাওয়া গেছে, তা দিয়েই খালের পাড় সংস্কার করা হয়েছে। ট্রাকের স্লিপ আমার কাছে আছে।” তবে প্রকল্প সভাপতির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, “আমি নিজেই সভাপতি।”
এ বিষয়ে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান বলেন, “আমি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”