বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নে লিফলেট বিতরণ, র্যালি ও গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে র্যালিটি নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠে এসে গণজমায়েতে পরিণত হয়। সকাল থেকেই সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে মাঠে সমবেত হন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী, ক্লিন ইমেজের রাজনীতিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও শহীদ শামসুজ্জোহা হল ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আতিকুর রহমান আতিক এর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়।
গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আতিকুর রহমান আতিক বলেন,“দেশের মানুষ আজ ন্যায়, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র চায়। বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি সেই আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। এই কর্মসূচির প্রতিটি দফাই জনগণের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপরেখা বহন করে। আমরা ঘরে ঘরে এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন,“
দেশনায়ক তারেক রহমান এই জাতির আশার প্রতীক। তিনি দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেবেন, আর তাঁর আহ্বানে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেবে।”
গণজমায়েতে বক্তারা বলেন, নাগরপুরে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। তরুণ সমাজ আজ শিক্ষিত, সৎ ও কর্মমুখী নেতৃত্বের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষ মো. আতিকুর রহমান আতিককে একজন সম্ভাবনাময় নেতা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিজ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান লাভলু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. নজরুল ইসলাম, দপ্তিয়র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. জিহাদ হোসেন ডিপটি, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান জাহিদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক মীর খালিদ মাহবুব রাসেল ও মো. নুরুল ইসলাম নুরু প্রমুখ।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি ও গণজমায়েতকে ঘিরে সকাল থেকে পুরো নাগরপুর উপজেলা মুখরিত হয়ে ওঠে। ব্যানার-পোস্টার টানানো, লিফলেট বিতরণ ও শ্লোগানে মুখরিত ছিল শহরজুড়ে। “তারেক রহমান” ও “আতিকুর রহমান আতিক” এর নামে ধ্বনিত হতে থাকে পুরো মাঠ।
স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গণজমায়েত নাগরপুরে রাজনৈতিকভাবে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছে। জনগণের মধ্যে মো. আতিকুর রহমান আতিকের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে।