নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে আম গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে।
রবিবার (১৪ মাচর্) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের রসুলপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সে ওই গ্রামের মৃত মছুব আলীর বড় ছেলে তিন সন্তানের জনক আ. ছালাম (৩০)।
এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনায় জড়িত থাকায় একই গ্রামের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে বাবু খান (২৭)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন থানা পুলিশ।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ সকালে মো. শহিদুল শেখ তার নিজ বসত বাড়িতে চৌচালা ঘর নির্মাণের জন্য তার জাগায় এক আম গাছ হলে থাকায় গাছ মালিকের বড় ছেলের নির্দেশে মো. শহিদুল শেখ গাছের ডালপালা কর্তন করে।
পরে মেঝো ছেলে মাসুদ খান আম গাছ কাটতে বাঁধা দেয়। আম গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কাঁচা রাস্তার উপর ১৪ মার্চ রাত নয়টার দিকে অব. মান্নান মাস্টারের নেতৃত্বে এক শালিশ বৈঠক বসে।
শালিশ বৈঠক অম্যান্য করে মাসুদ ও জুয়েল চলে যায়। এ সময় মান্নান মাস্টার বলে তোরা যা পারস কর আমি চলে গেলাম।
এরপর শহিদুল তার ভাইদের নিয়ে চলে যায় তাদের পুরান বাড়িতে। ঘন্টাখানিক পর মাসুদ ও জুয়েল দলবল নিয়ে শহিদুলের নতুন বাড়ীতে হামলা করে ঘর ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে শহিদুল ও আ. সালাম এগিয়ে আসলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
ঘটনাস্থলে আ. ছালাম (৩০)কে গুরুতর আহত অবস্থায় নাগরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে এলাকাবাসী।
তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্মরত ডাক্তার তাকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপালে প্রেরণ করেন।
হাসপালের কর্মরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ছালাম।
এ ঘটনায় নাগরপুর থানায় নিহতের স্ত্রী সুমাইয়া বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের বক্তব্য –
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার তদন্ত পূর্বক একটি মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর তদন্ত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ মামলার ১ আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নিহতের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
তদন্ত চলমান রয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার