ডেস্ক নিউজ : আজ (০৫ সেপ্টেম্বর) “সকাল পর্যন্ত মারা গেছে ১১ জন। গুরুতর আহত বাকী ২৬ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
তাদের অবস্থা খুবই জটিল। অনেকেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা: সামন্ত লাল সেন এমনটাই জানান।
প্রধানমন্ত্রীও কিছুক্ষণ আগে খোঁজ নিয়েছেন ও নির্দেশ দিয়েছেন সম্ভাব্য সব কিছু করতে। আমরা আপ্রাণ সেটাই চেষ্টা করছি।
নারায়ণগঞ্জের একটি মসজিদে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে অন্তত ৫০ জন অগ্নিদগ্ধ হন।
স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে অন্তত দুটি এসি পুড়ে গেছে ও জানালার কাঁচ উড়ে যায় এবং মসজিদে আগুন ধরে যায়।
এশার নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে রাতে শতাধিক মুসল্লি এসেছিলেন। নামাজ শেষে তাদের অনেকে তখনো মসজিদেই ছিলেন। ঠিক তখনই বিস্ফোরিত হয়।
মসজিদটির ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ ৩৭ জনকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছিলেন যে, মসজিদটির মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গেছে। সেই পাইপে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে হয়তো অনেক গ্যাস জমে ছিল।
এই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে।
তারপর মসজিদের এয়ার কন্ডিশনারগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে কীভাবে গ্যাসের পাইপ গেল, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এগুলো তদন্ত করে দেখা হবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষ জানিয়েছেন, মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা প্রায়ই গ্যাসের গন্ধ পেতেন।
দমকল কর্মীরা গিয়ে মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বেরুতে দেখেন। তারা গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেন। সূত্র – বিবিসি বাংলা। সম্পাদনা – অলক কুমার