ডেস্ক নিউজ : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আরও দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক যুবকের কাছ থেকে একটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মুখপাত্র আশিক বিল্লাহ।
এর আগে গতরাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেগমগঞ্জ উপজেলা থেকে দুই জনকে আটক করেছিল পুলিশ।
দুপুরে তাদেরকে আদালতে তুলে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
বাকিদের গ্রেফতারে জেলা পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে র্যাব এবং পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্যাতনের শিকার নারী গতরাতে আটক ওই দুইজনের ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা নিশ্চিত করেছেন বলে জানান বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুন-অর-রশীদ চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, মাস খানেক আগে উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে।
ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে গতকাল থেকে আলোচনা শুরু হয়।
আর মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঘটনার বিচার দাবি করে।
এরপর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বেগমগঞ্জ থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।
পরে পুলিশ ওই ভিডিও দেখে দুর্বৃত্তদের পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি ভিক্টিমকে তার বোনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
আজ (০৫ অক্টোবর) নোয়াখালীর জেলা সদর হাসপাতালে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষার কথা রয়েছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী নয় জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া নির্যাতনের ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে ঘটনাটির দেড় মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার বর্বরতা এবং এক মাস ধরে বিষয়টি ধামাচাপা থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় তুলেছে সাধারণ মানুষ।
তবে ভিডিওটি শেয়ার না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কাউকে এই ভিডিও শেয়ার করতে দেখা গেলে বা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
সূত্র – বিবিসি বাংলা। সম্পাদনা – অলক কুমার