অলক কুমার : টাঙ্গাইলে পর পর দুইদিন ট্রেনের দুটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আর এই ঘটনাকে পুরোই কাকতালীয় বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী (লোকো) আশীষ কুমার মণ্ডল।
তিনি বলেন, পর পর দুইদিনের ঘটনা দুটি পুরোই কাকতালীয়। এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্তের পর জানা যাবে, ঠিক কি কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : চার আসামির আত্মসমর্পণ, জামিন নামঞ্জুর
ওইদিন প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকার সঙ্গে উত্তর বঙ্গ ও দক্ষিণ বঙ্গগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
এরপর বুধবার (১০ আগস্ট) বুধবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে আসার পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
বিকল হওয়া লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটির ইঞ্জিনের মেরামতকাজ শেষে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।
ট্রেনের যাত্রীরা জানান, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড়ে যাত্রাবিরতি দেয়। নিয়ম অনুযায়ী যাত্রাবিরতির শেষে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি ছাড়েনি।
এর কিছুক্ষণ পর ট্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রেনটি নষ্ট হয়েছে, ঢাকা থেকে ইঞ্জিন আনা হবে; পরে সারারাত পরিবার নিয়ে চরম কষ্ট ও আতঙ্কে রাত কেটেছে তাদের।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন মাস্টার (বুকিং) রেজাউল করিম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি শেষে ছেড়ে যাওয়ার সময় ইঞ্জিন চালু হচ্ছিল না।
পরে ইঞ্জিন মেরামত শেষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেনটি লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।