নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন সরকার (আবু) দাপটে এখনো এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।
গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পল্টিবাজ এই আবু সরকার নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে আবার নিজেকে বিএনপি কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।
সেই সাথে তার সন্ত্রাসী বাহিনী এখনো ঘারিন্দা ইউনিয়নে তার আধিপত্য ধরে রাখতে সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা যায়, ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদর থানা বিএনপির সদস্য ছিলেন আবুল হোসেন সরকার (আবু সরকার)।
যিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি ছেড়ে ক্ষমতার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম ফজলুর রহমান খান ফারুক ও গোপালপুর-ভুয়াপুরের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে গত ৬ মে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
এরপর থেকে তার দাপটে ঘারিন্দা ইউনিয়নে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
একটি গোপন সুত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের পিটানো ও প্রতিহত করতে ১০টি অটো ও সিএনজি যোগে রড ও লাঠি দিয়ে তার কর্মী-সমর্থকদের শহরে পাঠায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রতিহত করতে।
বর্তমানে ক্ষমতার জন্য আবার কতিপয় কিছু বিএনপির লোকজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিএনপিকে ব্যবহার করে দলে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রতিদিন মিটিং করতেও দেখা যায় তাকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পল্টিবাজ আবু সরকারের দাপটে অতিষ্ঠ পূর্ব টাঙ্গাইলবাসী এক বাসিন্দা বলেন, আবু সরকরের স্বপ্ন ঘারিন্দা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হওয়ার।
কিন্তু এই ধরনের ব্যক্তি,যার কোনো রাজনৈতিক চরিত্রই নেই সে কিভাবে আমাদের এই ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন করবে।
তার কর্মীদের আঘাতে ছাত্র আন্দোলনের অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আমরা এই আবু সরকারকে ঘারিন্দা ইউনিয়ন থেকে বিতারিত করতে চাই।
আরেক নেতা বলেন, আমরা এই পল্টিবাজ নেতাকে দলে দেখতে চাইনা, আমরা চাই বিএনপি যেন আওয়ামী লীগের মতো না হয়।
যারা দলের দূর সময়ে ছিলো তারা যেন মূল্যায়ন হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড.ফরহাদ ইকবাল বলেন, কোনভাবেই এদের মতো কোন নেতা দলে প্রবেশ করতে পারবে না।
কোন প্রকার অনুপ্রবেশ করানো যাবেনা যারা আওয়ামী লীগের দোসর তাদের তো জায়গা হবেই না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।