প্রসাধনী পণ্যের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রস্তাব বৈধ আমদানিকে নিরুৎসাহিত করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিটিআইএ)। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, এতে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার, বাজারে নকল ও মানহীন পণ্যের ছড়াছড়ি এবং প্রায় ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বিসিটিআইএর সভাপতি মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারদরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি শুল্কহার বৈধ ব্যবসার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এর ফলে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাবে এবং নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষদের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ পড়বে।
সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিদ হোসেন বলেন, চলতি বাজেটে ১৫০% পর্যন্ত শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকারের ‘কর্মসংস্থান সৃষ্টির’ লক্ষ্য ও ‘বাংলাদেশ ২.০’র চেতনাকে ব্যাহত করবে। তিনি বলেন, শুল্কহার যৌক্তিক না হলে চোরাচালান, ভুল ঘোষণা ও রাজস্ব ফাঁকির ঝুঁকি বাড়বে।
বিসিটিআইএ অবিলম্বে অযৌক্তিক শুল্কায়ন প্রত্যাহার করে তা বাস্তবভিত্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে।