বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “নির্বাচন নিশ্চিত। তবে কিছু শত্রু দেশকে অস্থিরতার মধ্যে রাখতে চাচ্ছে। এটি প্রতিরোধ করতে সবাইকে একত্র হতে হবে।”
ফখরুল জানান, বর্তমানে জনগণের মধ্যে নির্বাচনের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “এই অবিশ্বাস দূর করে মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কাজ করতে হবে। আমাদের দলের চেয়ারপার্সন এবং অন্যান্য নেতারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সরল বা সহজ বিষয় খুব কমই ঘটে। শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মব ভায়োলেন্স (Mob Violence) একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে, যেখানে কারো বাড়ি ভাঙা বা ফ্যাক্টরি পোড়ানো হচ্ছে। এটি দেশের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”
ফখরুল উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ধরে বিভাজনের রাজনীতি করছে। এর কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে রাজনৈতিক অসন্তোষ এবং অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মানুষের মধ্যে আস্থা ও আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা।”
এদিকে, নির্বাচন নিয়ে বিপরীত অবস্থান নিয়েছে এনসিপি ও জামায়াত, যারা বিভিন্ন দাবি দেখিয়ে নির্বাচন না করার পক্ষে। ফখরুল বলেন, “পলিটিক্যাল পার্টিগুলো সর্বদা তাদের অবস্থান থেকে কিছু বার্গেইন করতে চায়। এটি অপরাধ নয়, তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা গুরুত্বপূর্ণ।”