নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের ৩৮ কিলোমিটার এলাকার যানজট অবশেষে মুক্ত হয়েছে।
আবারও ধীর গতিতে চলতে শুরু করেছে যানবাহন।
মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, সেতুতে পরপর দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল হওয়া, দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ এবং চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ফলে এই জটের সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ।
জানা যায়, বুধবার (২৮ জুন) ভোররাত ৪টা থেকে মহাসড়কের বাঐখোলা থেকে টাঙ্গাইল বাইপাস পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এবং রাবনা বাইপাস হতে বঙ্গবন্ধু সেতু (পূর্ব) পর্যন্ত ২৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (২৮ জুন) ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর একটি পিকআপ বিকল হয়; পিকআপটি সরাতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
এতে ভোররাত সোয়া ৪টা থেকে ৪টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত টোল আদায় বন্ধ রাখে সেতু কর্তৃপক্ষ।
এর আগেও কয়েক দফা টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। আর এতেই মহাসড়কে যানজট শুরু হয়।
এদিকে গত রাত ২টার পর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ভোগান্তি বাড়িয়েছে ঈদে ঘরেমুখী রাস্তায় থাকা মানুষদের।
বিশেষ করে যারা বাস না পেয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপ ও মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছেন, তারা চরম বিপাকে পড়েছেন।
বাসের চালকরা বলেন, ঢাকা থেকে যানজট ঠেলে আসতেছি। মহাসড়কে চার লেন হলেও এলেঙ্গার যানজট মহাসড়কে গিয়ে ঠেকেছে; যা খুবই খারাপ অবস্থা।
এবিষয়ে টাঙ্গাইলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, সেতুর উপর ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণে যানজট শুরু হয়।
এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ি গুলো দূর পাল্লার বাসের গতির সাথে তাল মেলাতে না পারাও গাড়ির গতি ধীর হয়ে পড়ে।
আর এই ফিটনেসবিহীন রাস্তায় বিকল হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে আশার কথা হলো, সাড়ে ১১টার পর থেকে আবার গাড়ি চলতে শুরু করেছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার