ঘাটাইল প্রতিনিধি : ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসন ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কাছে এ নিয়ে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও স্থায়ী কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভূক্তভোগীরা।
উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গুয়াপঁচা বিলে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে প্রায় দুই বছর ধরে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
দেলোয়ার হোসেন ওই ড্রেজারের পাশেই তার জমিতে বোরো ধানের পরিচর্চা করছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কাছে এ নিয়ে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ দিলেও স্থায়ী কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান স্থানীয়রা।
তাদের অভিযোগ, প্রশাসন সকালে এসে ড্রেজার বন্ধ করলে আবার বিকেলে চালু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেজারের চারপাশের জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন কৃষক। মাঝে ৬ বিঘা জমি; সেই জমিতে বসানো হয়েছে ড্রেজার। বালু উত্তোলনের কাজ চলছে বছরের পর বছর ধরে।
স্থানীয়রা জানায়, বালু উত্তোলনের ফলে ওই জমিতে প্রায় ৫০ ফুট গর্ত হয়েছে। আশেপাশের ফসলী জমি ভেঙে পড়ছে; অনেক জমির মাঝ বরাবর ফাঁটল দেখা দিয়েছে।
ভোজদত্ত গ্রামের স্কুল শিক্ষক মো. আবু হানিফ খান বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আশেপাশের আবাদি জমি।
জমি তার পানি ধারণ ক্ষমতা হারাচ্ছে, ফলে ফসল উৎপাদন বিনষ্ট হচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলছে এ কাজ।
স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসককে জানিয়েও স্থায়ী কোনো সমাধান হচ্ছে না।
কৃষকের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায় দুই সহযোগীসহ হাজির ড্রেজার মালিক বাড়ইপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন। তিনি স্বীকার করলেন এভাবে বালু উত্তোলন করা অবৈধ।
তবে, ড্রেজারের ছবি তোলার আগে নাকি তার সঙ্গে দেখা করেন অন্যান্য অনেক সাংবাদিক।
দেওপাড়া ইউপি’র নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হেপলু জানান, কৃষকের ক্ষতি কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ফসলী জমি রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব ড্রেজার মালিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার