নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে বড় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ট্রাক মার্কা নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে এবং মেঝভাই বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে হেরেছেন।
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী –
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ট্রাক প্রতীক নিয়ে ৭০৯৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মাজহারুল ইসলাম তালুকদার নৌকা নিয়ে পেয়েছেন ৫৪০৭৫ ভোট।
আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন।
লতিফ সিদ্দিকী এ আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়।
গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী –
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে তাঁর দলীয় প্রতীক গামছা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে।
বিজয়ী অনুপম শাহজাহান টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর অনুপম উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রার্থী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।
এ আসনে ভোট পড়েছে ৪২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
মুরাদ সিদ্দিকী –
মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাথাল মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরেছেন। তিনি আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই।
তিনি এর আগে ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।
পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি ওই দল থেকেই প্রার্থী হন। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি ছেড়ে দেন।
২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ না থাকলেও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন।
এবার সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।